চাঁদপুরে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১৫ জনসহ মোট ৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শহরের পুরানবাজার এলাকার ডেঙ্গু রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বেশি। অনেকে ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে নিজের এলাকায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে অক্টোবর মাসে ১৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেন। নভেম্বরে ১৯ দিনেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৭ জন। নারীর চেয়ে পুরুষেরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে।
সিভিল সার্জনের পরিসংখ্যান বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অক্টোবরে ৪০১ জন চিকিৎসা নিলেও নভেম্বরে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫৩ জন। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শারমিন বলেন, আমিসহ শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছি। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য বাড়িতে এসেছি। তারপর চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার সোহেল বেপারী বলেন, আমার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। পুরান বাজার এলাকা অধিকাংশ লোকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। চাঁদপুর পৌরসভা ঠিকভাবে ওষুধ ছিটায় না। তারা ঠিকভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর উপদ্রব কিছুটা কমে আসত।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। যদি কারও শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়, বমি, কফ ও পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের সব ধরনের মেডিসিন পর্যাপ্ত আছে। এ ছাড়া স্যালাইন ও বিভিন্ন ওষুধপত্র ঠিকঠাক আছে।