লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় আর কে শিল্পালয়ে (জুয়েলারি দোকানে) ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জুয়েলারির মালিক অপু কর্মকার ও তাঁর ছেলে অমিত কর্মকারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানের স্বর্ণালংকার লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের ইটের পোল এলাকায় ডাকাতদের ব্যবহৃত পিকআপের চাপায় সফি উল্যাহ নামে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন।
এ সময় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। ডাকাতদের হামলায় গুরুতর আহত দুই জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শহরের কলেজ রোড এলাকায় আর কে শিল্পালয়ে (জুয়েলারি দোকান) অপু কর্মকার ও তাঁর ছেলে অমিত কর্মকার বসে ছিলেন। একটি পিকআপ দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় মুখোশ পরা সাত-আটজন ডাকাত ককটেল ফাটিয়ে দোকানে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দোকানের মালিক অপু কর্মকার ও তাঁর ছেলে অমিত কর্মকার বাধা দিতে গেলে তাঁদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
অন্যদিকে ডাকাতেরা দ্রুতগতিতে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের ইটের পোল এলাকায় রাস্তায় দাঁড়ানো পথচারীর ওপর পিকআপটি উঠিয়ে দেয়।
এ সময় সফিউল্যাহ নামে এক পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থায়ও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। পরে জুয়েলারি দোকানের মালিক ও তাঁর ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন ব্যবসায়ীরা। পরে তাঁদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি হরিহর দেবনাথ অভিযোগ করেন, মুখোশ পরা সাত-আটজনের একদল ডাকাত বোমা ফাটাতে ফাটাতে জুয়েলারি দোকানে প্রবেশ করে। পরে দোকানের মালিক ও তার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দোকানে থাকা সব স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।