চট্টগ্রাম নগরীতে ঈদ শুভেচ্ছার ব্যানার টানানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত যুবদলের কর্মী জিহাদুর রহমান জিহাদ মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত জিহাদুর নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলমের অনুসারী। এর আগে গত ২১ মার্চ নগরীর খুলশী থানার জিইসি মোড়ে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহ আলমের অনুসারীদের সঙ্গে নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের অনুসারীদের সংঘর্ষে জিহাদুরসহ দুজন গুলিবিদ্ধ ও একজন ছুরিকাহত হন।
জানা গেছে, শাহ আলম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অনুসারী ও শরিফুল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ ছাড়া ৫ আগস্টপরবর্তী দামপাড়া কাউন্টার, জিইসি মোড়ের হকার ও টেম্পুস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
ওই দিন সংঘর্ষে জিহাদুর ছাড়াও আনোয়ার হোসেন নামের শাহ আলমের আরেক অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আর শরিফুলের অনুসারী রমিজ দারোয়ান ছুরিকাঘাতে আহত হন। ঘটনায় উভয় পক্ষ খুলশী থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা করে। ঘটনার দিন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জিহাদুর রহমান হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছিল, মামলার আসামি ১৬-১৭ জন করে। সংঘর্ষের ঘটনায় করা একটি মামলা আদালতে আবেদন করে ৩০২ ধারায় যুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত দুটি মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।