চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ডলু খালের ওপর নির্মিত স্টিল ব্রিজটি হুমকির মুখে রয়েছে। ব্রিজটির নিচে ও পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নিচের পিলার ভেসে উঠেছে। এতে ব্রিজটি হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার পুটিবিলা ও চুনতি ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ডলুখাল। ওই খালের ওপর পুটিবিলা-চুনতি সংযোগ সড়কে মাওলানাপাড়ায় ১৫-২০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে স্টিলের ব্রিজটি। এটি লোহাগাড়া, বান্দরবানের আলীকদম ও লামা উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। পুটিবিলা ও চুনতিবাসীর মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজ এটি। এই ব্রিজ দিয়ে পুটিবিলার এমচরহাট-পানত্রিশা-ফারেঙ্গা হয়েও বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যায়।
ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত যান চলাচল করছে। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। ব্রিজের নিচ থেকে বালু তোলার কারণে বর্তমানে এটি হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালু উত্তোলনের কারণে ব্রিজটির বেইজড দেখা যাচ্ছে। গাড়ি চললে ব্রিজটি নড়ে ওঠে। ওই মুহূর্তে মনে হয় ব্রিজ ভেঙে পড়ে যাবে। বালুখেকোরা ব্রিজের নিচে ও পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ব্রিজটির নিচের পিলার ২০-৩০ ফুটের মতো ভেসে উঠেছে।
পুটিবিলা ইউপি সদস্য মো. নাছির উদ্দিন জানান, ব্রিজের নিচে ডলুখাল থেকে বালুখেকোরা অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ব্রিজটি এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মুহাম্মদ ইউনুচ জানান, দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য এটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ। এলাকার কিছু বালুখেকোরা বালু উত্তোলনের কারণে ব্রিজটির বেইজড ২০ ফুটের বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনীর বলেন, `ডলু খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে।'
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান হাবিব জিতু জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুখেকোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং বহু বালু জব্দ করা হয়েছে। বহু বালুখেকোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডলুখালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির নিচ থেকে কোনো ধরনের বালু উত্তোলন করা যাবে না বলে তিনি জানান।