সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ সোমবার সকাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। গতকাল রোববার রাতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নৌ পথে জাহাজ চলাচলের বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এসব ঘাটসমূহ থেকে পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ৮-৯টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে থাকে।
এদিকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে জাহাজ না যাওয়ায় প্রায় ২ হাজার পর্যটককে সেন্টমার্টিনেই অবস্থান করতে হবে। তবে এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কোনো আতঙ্ক নেই বলে জানা গেছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ও টুরিজম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, ‘১৮০০ থেকে ২ হাজার পর্যটক এখনো দ্বীপে রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর কটেজে যেসব পর্যটক রয়েছেন, তারা দুদিনের জন্য কক্ষগুলো ভাড়া নেন। যেহেতু আবহাওয়া এখন ভালো রয়েছে, দিন শেষে বা রাতের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকেরা ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বড় হাওয়া বয়ে যাওয়া যেতে পারে। এ কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এতে ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন যাতায়াত বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিন যাতায়াত ফের শুরু হবে।
এ ছাড়া দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে আসতে না পারা পর্যটকদের সুবিধ-অসুবিধার বিষয়গুলো নজরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।