নোয়াখালী প্রতিনিধি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী ছিলেন দুজন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মওদুদের মৃত্যুর পর দৃশ্যপট পাল্টে গেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে। এখন এ আসনে ওবায়দুল কাদেরের দিকে পাল্লা ভারী। তবে জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ রুবেলও আছেন আলোচনায়।
৩৮ বছর বয়সী তানভীর জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় রয়েছেন।
তানভীর ১৯৮৫ সালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাজা বিলাসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বসুরহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি প্রয়াত খাজা আবুল খায়েরের একমাত্র ছেলে।
ব্যারিস্টার তানভীর নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুসের মামলার কৌঁসুলির দায়িত্বে আছেন। এই মামলা নিয়ে তিনি বেশ আলোচনায় আছেন। তানভীর গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং গ্লোবাল করপোরেশনের আইন উপদেষ্টা-প্যানেলের আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্বে আছেন। আইন পেশা ও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ধর্মীয়, সামাজিক, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার তানভীর ছাড়াও আরও তিনজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মোহাম্মদ মকছুদের রহমান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (আইএফবি) মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) শাকিল মাহমুদ চৌধুরী।
নোয়াখালী-৫ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মহলে ওবায়দুল কাদের ও তানভীরের বেশ পরিচিতি থাকলেও অপর তিন প্রার্থীর তেমন একটা জনসম্পৃক্ততা ও পরিচিতি নেই।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ৭১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৩৮৮ জন, নারী ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩২৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩২টি।