টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় ধসে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ধসে পড়া মাটি পাহাড়সংলগ্ন ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে এসে পড়ে। এ সময় সড়কে একটি চলন্ত মাইক্রোবাস আটকে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটেনি। আজ শুক্রবার সকালে নগরীর লালখানবাজার-টাইগারপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে মাটি সরিয়ে সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে। এ ছাড়া হাঁটুপানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও।
আজ সকালে বৃষ্টিপাতে নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। এ সময় ভোগান্তিতে পড়ে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন। যাতায়াতে গুনতে হয়েছে তাদের অতিরিক্ত ভাড়া।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, নগরীতে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পাহাড় ধসের খবর পায় তারা। এরপর আগ্রাবাদ থেকে দুটি টিম সেখানে যায়। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। বাদ যায়নি চসিক মেয়রের বাড়িও। সকালে বাড়িটির সামনে প্রায় হাঁটুসমান পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এতে মেয়রও একপ্রকার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাঁর বাড়িতে পানি ওঠার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে।