সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় রাঙামাটির সাজেকে আটকে পড়া পাঁচ শতাধিক পর্যটককে খাগড়াছড়ি শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাজেকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর আটকে পড়া পর্যটকদের আজ সেনা সহায়তায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার বাঘাইছড়ির সাজেকের পুরিহলা চুগ এলাকার গহিন জঙ্গলে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে দিনভর থেমে থেমে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০০ রাউন্ডের মতো গুলি বর্ষণ হয়। তবে তাৎক্ষণিক কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় রাতেই আইন-শৃঙ্খলা সার্বিক পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিতের নির্দেশনা জারি করে। এতে সাজেকে ভ্রমণে যাওয়ায় প্রায় ৫ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েন। আজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে থেকে পর্যটকদের গাড়িযোগে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, মঙ্গলবার সাজেকের যাওয়ার রাস্তার একটি অংশে দুটি সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে মুখোমুখি গোলাগুলি হয়। এতে ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দেয়। যার কারণে শুধুমাত্র বুধবারের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সাজেকে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও পর্যটকদের জন্য সাজেক খুলে দেওয়া হবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তাহলে এ নিরুৎসাহিতের নির্দেশনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এখন পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সবকিছু দেখার পর পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।