চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশাগুলোতে কিউআর কোড সংবলিত স্টিকার লাগানো ও পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। নগরীর জিইসি মোড়, টাইগার পাস, অলংকার মোড় ও সিমেন্ট ক্রসিংসহ ৮টি বুথে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ট্রাফিক পুলিশের তথ্যে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিআরটিএ নিবন্ধিত ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৬৮৮ জন চালকের ও ৪ হাজার ৮৬২ জন মালিকের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপসের আওতায় নিবন্ধিত আড়াই হাজার অটোরিকশায় কিউআর কোড সম্বলিত স্টিকার লাগানো হয়। এ সময় চালকদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
জিইসি মোড়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-ট্রাফিক) কাজী হুমায়ুন রশিদ, সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মমতাজ উদ্দিন, যানবাহন পরিদর্শক (টিআই-অ্যাডমিন) সেলিমুর রহমান, পাঁচলাইশের পরিদর্শক মো. মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ উদ্যোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। কমিশনার বলেন, ‘এই কার্যক্রমের আওতায় যাত্রীরা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে গাড়িতে ঝোলানো প্রিন্টেড কপিতে উল্লেখিত আইডি ও কোড স্ক্যান করে চালক ও মালিকের ছবিসহ সকল তথ্য জানতে পারবেন। যাদের স্মার্টফোন থাকবে না তাঁরা ফিচার ফোন থেকে প্রিন্টেড কপিতে থাকা নিউম্যারিক কোডটি সিএমপি নির্ধারিত নম্বরে ম্যাসেজ করলেই ফিরতি বার্তায় ড্রাইভার ও মালিক নিবন্ধিত কিনা তা জানাবে পুলিশ।’
পুলিশ জানায়, নিবন্ধিত হলে গাড়ির মালিক তাঁর গাড়ি যেকোনো চালককে দেওয়ার আগে ভেরিফিকেশন কার্ড দেখে ওই চালক সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে। চালকের পরিচিতি গাড়ির মালিকের পাশাপাশি যাত্রীরাও অবগত থাকবেন। আবার গাড়িতে ভুলবশত যাত্রীরা কোনো মূল্যবান জিনিস ফেলে গেলেও সেগুলো পরবর্তীতে সহজেই উদ্ধার সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণও সহজ হবে বলে জানান তিনি।