নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
মীরসরাইয়ের মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে জন্ম নেয় ৫ মাস ১৯ দিন বয়সী এক শিশু। স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে কবর দেওয়ার প্রস্তুতিকালে ওই শিশু কেঁদে উঠেছে। শিশুটি এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত শনিবার এ ঘটনা ঘটলেও আজ সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার ১০ নম্বর মিঠানালা ইউনিয়নের পূর্ব মিঠানালা গ্রামের উমর আলী সারেং বাড়ির কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পূর্ব মিঠানালা গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের প্রসবব্যথা ও রক্তক্ষরণ হলে শনিবার সকালে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত গাইনি চিকিৎসক ডা. শারমিন আয়েশা পরীক্ষা করে রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিকেলে আলট্রাসনোগ্রাফি করে চিকিৎসক জানান, গর্ভের শিশু মারা গেছে। এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রসবের পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর শিশুকে একটি কার্টনে করে বাড়িতে নেওয়া হয়।
শিশুর বাবা ইউনুস আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে কার্টনে করে ৫ মাস ১৯ দিন বয়সী বাচ্চাকে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই। এর মধ্যে কবর খোঁড়াও হয়ে গেছে। পরে কবর দেওয়ার জন্য কার্টন খুলে দেখি-বাচ্চা কান্না করছে। এ অবস্থায় দ্রুত মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে নবজাতককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুর কিছু হলে তার জন্য ডা. শারমিন আয়েশা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।’
এ বিষয়ে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ রানা বলছেন, ‘প্রসবের পর বাচ্চার ১ মিনিট নড়াচড়া ছিল। ১৫ মিনিট চিকিৎসকের কনজারভেশন রাখা হয়। এরপর রোগীর স্বজনরা সেখানে আসে। নবজাতককে মৃত ঘোষণা করলে আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দিতাম। কিন্তু আমাদের অজান্তে তাঁরা বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে গেছে।’
মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘সাধারণত ৫-৬ মাসের বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলে বাঁচার কথা নয়। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’