চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আবারও সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়েট গেটের সামনে অবস্থান নেয় তাঁরা।
সড়কের দুপাশে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ার ও বাসের সিট জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।
এদিকে সড়ক নিরাপদ করতে দুপুর ১২টার দিকে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন ও জরুরি গাড়ি ব্যতীত সব স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে এবং দুর্ঘটনায় জড়িত বাস চালককে আটক করতে হবে। দাবিগুলো মেনে নিতে ৭২ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন তাঁরা।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রথম দফা আন্দোলনেও সড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তিনটি বাস আটক করা হয় এবং ভাঙচুর করা হয় এবং একটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিহত চুয়েট শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেনের জানাজা সড়কে আদায় করেন তারা এবং সন্ধ্যায় শান্ত সাহার জন্য বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
এদিকে এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাঁদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এ দুর্ঘটনায় জড়িত বাস চালককেও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা মাহ আমানত বাস সার্ভিসের দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন নামের দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন।