নোয়াখালীর হাতিয়ায় লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার তমরদ্দি লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম ও নাফিসা বেগম। বাকিদের নাম জানা যায়নি। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে লায়লা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, ‘তমরদ্দি ঘাট নিয়ে তানভীর ও আলমগীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
জানা যায়, তমরুদ্দি লঞ্চঘাটের ইজারাদার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজল। গত ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীরের লোকজন তমরদ্দি ঘাট দখল নেন। পরে ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজলের সঙ্গে বিএনপি নেতা আলমগীর সমঝোতা করে নেন। সেই থেকে আলমগীর ঘাটের দায়িত্ব এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।
কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে করে আসছেন।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বিএনপির নেতা তানভীরের লোকজন ঘাটের দখল নিতে যান। এ সময় তাঁদের আলমগীরের লোকজন ধাওয়া করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ঘাটের পাশে বসবাসকারী শ্রমিক পরিবারের নারী-পুরুষেরাও সংঘর্ষে জড়ান। সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদর থেকে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড লঞ্চঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয় বিএনপি নেতা আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘাটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ তবে তিনি জানান, প্রতিদিনের ঘাট থেকে উপার্জনের ৪০ পারসেন্ট টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। তিনি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করেন।
প্রতিপক্ষের তানভীর হায়দার বলেন, আলমগীরের নানা অপকর্মের দায়ে বিএনপি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ঘাটটি সে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ভোগ দখল করে আসছেন। ঘাট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।