Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

নগরীর চিকিৎসা বর্জ্য অশোধিতই থাকছে

হোসাইন জিয়াদ, চট্টগ্রাম

নগরীর চিকিৎসা বর্জ্য অশোধিতই থাকছে

নগরীর ছোট–বড় প্রায় ৩০০ হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ করে তা উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা এবং প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’র চুক্তি আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানটি অন্য সংস্থার কাছে অশোধিত বর্জ্যই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার সাধারণ বর্জ্য এবং চিকিৎসা বর্জ্য আলাদা করে উপযুক্ত পদ্ধতিতে পরিশোধনের কথাও ছিল। কিন্তু কোনো শর্তই মানছেন না ঠিকাদার। ফলে এসব বর্জ্য থেকে আবারও সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বর্জ্য অপসারণ নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানাও করেছে। নিয়ম মানা এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে এক মাস সময় দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, হাসপাতালগুলো থেকে দিনে তৈরি হয় প্রায় ২০ টন মেডিকেল বর্জ্য। এ বর্জ্য পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাসে ৮০ হাজার টাকা নিচ্ছে। অন্য হাসপাতালগুলো থেকেও নিচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির এ কাজে মাসিক আয় এক কোটি টাকারও বেশি। অথচ প্রতিষ্ঠানটি বর্জ্য পরিবহন এবং পরিশোধনের কাজটি যথাযথভাবে করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের তিনজনের টিম সম্প্রতি হালিশহরে বর্জ্য অপসারণ স্থানে অভিযানে গিয়ে দেখেছে, ২০০৮ সালের চিকিৎসা বর্জ্য অপসারণ নীতিমালার কিছুই মানা হচ্ছে না। শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ নামের অন্য একটি সংস্থার কাছে জীবাণুমুক্ত না করেই টুকরা টুকরা বর্জ্য বিক্রির প্রমাণ মিলেছে।’

করপোরেশন সূত্র জানায়, শর্ত অনুযায়ী সংগৃহীত মেডিকেল বর্জ্য আলাদা করে পরিবহনের পর তা উচ্চ তাপমাত্রায় ইনসিনারেট বা আধুনিক চুল্লিতে পুড়িয়ে ফেলার কথা। চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার কোনো ইনসিনারেটর নেই, তারা ব্যবহার করছে পুরোনো চুল্লি। এ ছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জের সুই, কাঁচি ইত্যাদি ধারালো ও সংক্রামক বর্জ্য কাটা বা ধ্বংস করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো যন্ত্রপাতিও নেই। স্যালাইনের নল, বোতল ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার কথা। কিন্তু ব্লিচিং পাউডারের কোনো অস্তিত্বই পায়নি পরিবেশ অধিদপ্তরের দলটি। সাধারণ বর্জ্য ও চিকিৎসা বর্জ্য আলাদা করে পরিবহনের কথা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু তা মিশ্রিত অবস্থায় পরিবহন করা হচ্ছে। এতে সাধারণ বর্জ্যও সংক্রামক বর্জ্যে পরিণত হচ্ছে।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার ব্যবস্থাপনার চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার বর্জ্য যেমন মাস্ক ও অন্যান্য সামগ্রী আমরা পুড়িয়ে ফেলছি। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সেখানে আধুনিক চুল্লি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।’ অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বর্জ্য বিক্রির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি, এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে আমরা শিগগিরই চিঠি পাঠাব।’ আর সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

কুমিল্লায় গোমতী নদীর মাটি কাটার অপরাধে ৭ ট্রাক জব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হোমনা উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন

রাউজানে অস্ত্রসহ দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে টিসিবির পণ্য নিতে দীর্ঘ লাইন, কম দামে পেয়ে খুশি ক্রেতারা

নোয়াখালীতে ৯ দোকানে অভিযান, ১২ হাজার টাকা দণ্ড

নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রী আটক, ২ হাজার ইয়াবা জব্দ

বিমানবন্দরে চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ছেলেসহ গ্রেপ্তার

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে কমিউনিটি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬০ টাকা নির্ধারণ

বান্দরবানে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করল বিজিবি