পরশুরামে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে মানুষ এবারও বিপাকে। বলতে গেলে পানির দরেই বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া। গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পরশুরামে বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় নেওয়া হয়। চামড়ার বাজারে ধস নামায় দুস্থরা বঞ্চিত হয়েছেন। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো জানান মির্জানগর ইউনিয়নের গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ১00 টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো আরও জানান, তারা মহিষ দিয়ে কোরবানি দিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সেই মহিষের চামড়াও বিক্রি করেছেন মাত্র ১00 টাকায়।
সত্যনগর গ্রামের আব্দুল খালেক জানান তিনি দেড় লাখ টাকা দামের গরু দিয়ে কোরবানি দিয়েছেন। তার গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা।
বক্সমাহমুদ এলাকায় কর্মরত সাংবাদিক মোহাম্মদ ইয়াসিন খান জানান তাদের এলাকায় গত বছরের মতো এবারও কেউ চামড়া কিনতে না যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন নিকটবর্তী মাদ্রাসায় চামড়া দিয়ে দেন। ইয়াসিন আরো জানান তাদের এলাকায় সর্বোচ্চ ১00 টাকা দরে চামড়া বিক্রির খবর শোনা গেছে। চিথলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফেনী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এম শফিকুল হোসেন মহিম জানান চিতলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ ১00 টাকা দরে চামড়া বিক্রি করার খবর শুনা গেছে। মহিম আরো জানান তিনি নিজেও তার কোরবানির পশুর চামড়া ১00 টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
পরশুরাম এলাকার অন্যতম চামড়া ব্যবসায়ী তহিদুল ইসলাম জানান তিনি প্রায় ৪০০ চামড়া কিনেছেন প্রতি পিস চামরা ১০০ টাকা দরে।