চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসার করপোরেশন নামের শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ছয়জন। আজ শনিবার ভোর ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) ও বরকতুল্লাহ (২৩)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তাঁরা মারা গেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ ও আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এই দুর্ঘটনায় এর আগে মারা গেছেন জাহাঙ্গীরের ভাগনে খায়রুল শেখ (২১), আহমেদ উল্লাহ (৩৮), আল আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৬)।
মৃত জাহাঙ্গীরের জামাতা নিয়ামত আলী জানান, তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পূর্ব বেটকা গ্রামে। সীতাকুণ্ডের ওই শিপইয়ার্ডে তেলের ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন জাহাঙ্গীর। বিস্ফোরণে তাঁর শরীরের প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে তাঁকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল।
মৃত বরকতউল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। বাবার নাম আইয়ুব আলী।
এর আগে, গত সপ্তাহের শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এসার করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিংয়ের কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।