ফেনীর পরশুরামে ‘রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ বা চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। হাইব্রিড সমলয় চাষাবাদের আওতায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার দুবলাচাঁদ মাঠে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রবি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় বোরো হাইব্রিড ধান চাষে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্ট যন্ত্রের মাধ্যমে ৮১ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে চারা রোপণের কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. একরাম উদ্দিন ও পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবাঞ্জন বনিক বলেন, ‘রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ বা চারা রোপণের যন্ত্র দিয়ে দিনে এক ঘণ্টায় ৩০ জন কৃষকের সারা দিনের কাজ শেষ করা যাবে। প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ একর জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। এতে কৃষকের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে, কৃষি উৎপাদনও বেশি হবে।’
এর আগে সমলয় বোরো হাইব্রিড ধান চাষে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্ট যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণের সার্বিক বিষয় কৃষকদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী।
ইউএনও আফরোজা হাবিব শাপলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. একরাম উদ্দিন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবাঞ্জন বনিকের সঞ্চালনায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু কুমার দাশসহ কৃষকেরা বক্তব্য দেন। সমলয় চাষাবাদ কার্যক্রমে মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ যুব-তরুণ সংঘ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন, ‘এই কার্যক্রমে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে একসঙ্গে ফসল রোপণ এবং ফসল কাটা এই যন্ত্রের মাধ্যমে করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে যাবতীয় বীজ, সার ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হবে, যাতে কৃষকেরা ভবিষ্যতেও কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারে উৎসাহিত হয় এবং কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ গঠন স্মার্ট কৃষিতে পদার্পণ করে এবং দেশ কৃষিতে সমৃদ্ধিশালী হয়।’