লাইনে লিকেজের গ্যাসে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও অফিসের টিনের চালের একাংশ ভেঙে পড়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে অফিসের পাঁচটি এসি, ১৬টি ফ্যান, কম্পিউটার, আলমিরা ও চেয়ার–টেবিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম।
জানা গেছে, শহরের মেইন সড়ক ও ড্রেনের কাজের সময় ঠিকাদারের অসচেতনতার কারণে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনে লিকেজের সৃষ্টি হয়। ওই পাইপ লাইনের গ্যাস আওয়ামী লীগের অফিসের দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। রাতে বৃষ্টির সময় অফিসের টিনের চালে বজ্রপাত হলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় টিনের চালের একাংশ ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিসটি বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাই। অফিসের সমস্ত মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে এই ঘটনায়।’
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাস্তার উন্নয়নকাজের সময় ভেকু মেশিনের আঘাতে তিতাসের সঞ্চালন লাইন ফেটে গ্যাস প্রধান সড়কের বিভিন্ন ভবন ও আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করে। বিস্ফোরণের কারণে আওয়ামী লীগ অফিসের সমস্ত মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ২৫-৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবহারের উপযোগী করতে অফিস সংস্কার করতে হবে। এর দায় ঠিকাদারকেই নিতে হবে।’
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় ঠিকাদারের ত্রুটি আছে কি না সেটা দ্রুত তদন্ত করা হবে। ত্রুটি পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী খোরশেদ আলম বলেন, ‘গ্যাস লাইনের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস এবং আমাদের টিম গিয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়।’