অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী এই তারিখ ধার্য করেন।
আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নওশের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর ২ নভেম্বর রাতে হিমুর মামা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় হিমুর বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রফি ওরফে রাফিকে আসামি করা হয়।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, জিয়াউদ্দিন রাফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপন করতেন।
গত বছরের ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। ওই বাসায় থাকা মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তাঁর রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে।
মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাঁকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান রাফি।
মামলায় বলা হয়, হিমুর বাসায় এসে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন রাফি। প্ররোচনা দিয়ে তিনি বাথরুমে ঢোকেন। এই ফাঁকে হিমু আত্মহত্যা করেন। মামলার পর জিয়াউদ্দিন রাফিকে গত বছর ৩ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।