গাজীপুরের টঙ্গীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাসির ইসলামের (২১) মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগের ১৮ দিন পর গত বুধবার টঙ্গী পশ্চিম থানা–পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে। এর আগে গত ২৮ জুলাই নিহতের বাবা টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এ থানায় বদলি হয়ে এসেছি। ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু করেছে।’ এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় নি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় নিজ মাদ্রাসার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন নাসির। এ সময় দেশীয় ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহাসড়কের একপাশে অবস্থান নেন টঙ্গীর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতা–কর্মী।
এ সময় তাঁদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন নাসির। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নাসিরের মৃত্যু আট দিন পর গত ২৮ জুলাই নিহতের বাবা টঙ্গী পশ্চিম থানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪৮ জনে নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ১৮ দিন পর ১৪ আগস্ট মামলাটি গ্রহণ করা হয়।
মামলায় আসামীরা হলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লা ও আমির হামজা, টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মনি সরকার, কাজী মঞ্জুর, টঙ্গী শ্রমিক লীগ নেতা মতিউর রহমান ওরফে বিকম মতিসহ আরও ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী আশরাফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা করতে গিয়েছিলাম গত জুলাই মাসে। পুলিশ আগস্ট মাসে মামলা নিয়েছে।’