ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক ভুল’ আখ্যা দিয়ে কলাম লেখায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, ‘৩ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দাওয়াতে গিয়ে যারা এক দফার কবর দিতে চেয়েছিল, সেসব শিক্ষকদের এই ক্যাম্পাসে কখনোই জায়গা হতে পারে না। তারা কীভাবে ক্যাম্পাসে পুনর্বাসিত হয়, সেটা আমরা দেখে নেব। শুধু আবু সালেহ সেকেন্দার নয়, যেসব শিক্ষক সুশীল সেজে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারা এই ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না।’
এ বিষয়ে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব খাঁটিয়ে ও বিরোধী শিক্ষকদের জামায়াত, শিবির ও জঙ্গি আখ্যা দিয়ে মানসিক পীড়া দিতেন আবু সালেহ সেকেন্দার। সরকার পতনের পরও আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট ও কলাম লিখে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালে ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক ভুল’ শিরোনামে কলাম লেখেন তিনি।
জানা যায়, নারী কেলেঙ্কারি, থিসিস পেপার জালিয়াতি ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় আবু সালেহ সেকেন্দারকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি চলমান আছে।