মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ বুধবার তাঁকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরিফ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগামীকাল কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।’
র্যাব সূত্রে জানা যায়, মজিদ মাওলানাসহ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সাত আসামির বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট বেলা একটায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় ২০১৩ সালে। শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির মামলাটি করেন।
এ ছাড়া মজিদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ ছিল। আটজন নিরীহ মানুষকে অপহরণের পর হত্যা, তিনটি বাড়ির মালামাল লুট, আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
মজিদ মাওলানা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেজামে ইসলামের নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তী সময় তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন।