গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক (বহিষ্কৃত) সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমদ (৬০) এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। কাপাসিয়া ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজের ব্যানারে আজ রোববার দুপুরে উপজেলা সদরে এই মিছিল করা হয়।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বের হওয়া মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘোরে। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এ সময় সাখাওয়াত হোসেন ও জামাল উদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
জামাল উদ্দিন আহমদ উপজেলার তরগাঁও গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন আহমদের (সাবু চেয়ারম্যান) ছেলে। তিনি একজন আদম ব্যবসায়ী। গতকাল শনিবার ভাতিজার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে মামলা হয়। গাজীপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর বাবা। নির্যাতনের শিকার কিশোরী গৃহকর্মী ইতিমধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
গাজীপুর জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীর নেতৃত্বে আজ রোববার এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নার্গিস, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, যুগ্ম সম্পাদক তানিয়া, সহসভাপতি মমতাজ, দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রানী, সহসভাপতি শিউলি, ঘাগটিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মরিয়ম, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা, চাঁদপুর ইউনিয়নের সভাপতি লাভলী, সাধারণ সম্পাদক কমলা, কড়িহাতার পারভীন, মাহফুজা, নাসিমা প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর মিয়া বলেন, আজ দুপুরে জামাল উদ্দিনকে গাজীপুর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধর্ষণের মামলায় কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হয়েছে।