‘আমার দুনিয়ায় কেউ নাই। কেউ নাইরে আমার দুনিয়ার মাঝে। দুনিয়ার বুকে আমার বাপ-মাও নাই। বোন-ভাই কেউ নাই আমার। আমার আছে সবই কিন্তু কেউ আমারে চিনে না। আমার বাপ-মার কাছে পৌঁছাইয়া দেবেন কেউ যদি দেইখা থাকেন ভিডিওটা।’ এভাবেই নিজের দুর্দশার কথা কান্না জড়িত কণ্ঠে ফেসবুক লাইভে এসে বলছিলেন টাঙ্গাইলের আরব আমিরাত প্রবাসী শামিম নামে এক যুবক।
শামিমের পাসপোর্ট থেকে জানা গেছে, তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নে। তাঁর বাবার নাম সুজাত আলী। মায়ের নাম খুদেজা বেগম। স্ত্রী খাদিজা।
লাইভে তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে একটি মোবাইল নম্বর দেন তিনি। আজকের পত্রিকা পক্ষ থেকে ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বাবা জানান, চার মাস আগে স্থানীয় এক দালালের (শফিক) মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দিয়ে আরব আমিরাতে পাঠান তাঁর ছেলেকে। শফিক বলেছিল ওই দেশে গিয়ে তাঁর ছেলে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করবে। ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর শফিকের মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাকে বললে চেষ্টা করছে বলে জানায়।
শামিম লাইভে জানান, গত তিন-চার দিন ধরে তিনি কোনো কিছু না খেয়ে আছেন। বিগত চার মাস যাবৎ সেখানে অতিকষ্টে খেয়ে না খেয়ে পড়ে আছেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে এসেছে। দেশে এসে টাকা কামাই করে ঋণ দিয়ে দেবে। তার দুটি বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চা দুটির দিকে তাকিয়ে কেউ ভিডিওটি বাবাকে দেখানোর অনুরোধ করেন।