চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কদম রসুল সমুদ্র সৈকত পয়েন্টে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো বিচ পাঠাগার। এই পাঠাগারে বসে ভ্রমণে আসা মানুষেরা বই পড়ে অবসর কাটাতে পারবেন। ভ্রমণের ক্লান্তি কাটাতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিচ পাঠাগার। পাঠাগারের উদ্বোধন করেন বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের সমাজ সেবক এনামুল হক চৌধুরী। এই পাঠাগার স্থাপনে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন পাঠকপ্রিয় লেখক সিরাজুল ইসলাম।
অতিথিরা বলেন, ভিন্নধর্মী এই আয়োজনের মাধ্যমে বইবন্ধু বইয়ের মিছিল ছড়িয়ে দিতে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। বইয়ের রাজত্ব হোক বিশ্বব্যাপী। বইয়ের মিছিল ছড়িয়ে যাক সর্বত্র।
বই নিয়ে এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে ঢাকার বই প্রেমীদের সংগঠন বইবন্ধু। সামাজিক সংগঠনটি এরই মধ্যে বই নিয়ে নানা ধরনের ব্যতিক্রম আয়োজন করে আসছে। বইয়ের কথা ছড়িয়ে দিয়ে পাঠক তৈরিতে বইবন্ধু সব সময় ভিন্নতার পরিচয় দিয়ে আসছে। একঝাঁক বইপ্রেমী বইয়ের ব্যাগ নিয়ে ছুটেছেন বাসে, হাসপাতালে, কখনো সেলুনে, কখনোবা অপেক্ষারত পরীক্ষার হলের বাইরে, আবার কখনো পর্যটন স্পটে।
এমন ভিন্ন আয়োজন সম্পর্কে বইবন্ধুর সমন্বয়ক মহিউদ্দিন তোহা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বই মানুষের পরম বন্ধু। জাগতিক নিয়মে আলো যেভাবে অন্ধকার দূর করে, তেমনি বই মানুষের মনের যাবতীয় অন্ধকার দূর করে। বই চেতনা জাগ্রত করে। বই অতীত থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ যুগ থেকে যুগান্তরে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেয়। উচ্চতর শিখরে উঠতে সাহায্য করে। বই আত্মশুদ্ধিতে সাহায্য করে। বই অবসরে, নিঃসঙ্গতায় বিনোদন দেয়, বন্ধু হিসেবে পাশে থাকে। বইয়ের গুরুত্বের কথা বোঝাতে গিয়ে মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েন বলেছেন, “ভালো বন্ধু, ভালো বই এবং একটি শান্ত বিবেক: এটি আদর্শ জীবন”।’
বিশ্বের মাত্র ছয়টি দেশে এমন বিচ পাঠাগার আছে। বিশেষ করে দুবাই, থাইল্যান্ডসহ পর্যটন কেন্দ্রিক দেশের সৈকতে এমন পাঠাগার দেখা যায়। সপ্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে চালু হলো বিচ পাঠাগার। এটি বাংলাদেশে প্রথম।