রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিব হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মতিঝিল থানা-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
জানা গেছে, রাকিব পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় হারজী গ্রামের মো. হিমু মিয়ার ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। পরিবার নিয়ে কেরানীগঞ্জের চুনকুঠিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকায় থাকতেন। চকবাজারের ইসলামপুরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন রাকিব।
মতিঝিল থানার এসআই মো. জহুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ফকিরাপুল নিউ মিতালী আবাসিক হোটেলের চারতলার ৪০৪ নম্বর রুমের দরজা ভেঙে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচানো অবস্থায় ছিল রাকিব।
তিনি আরও জানান, হোটেলের রেজিস্টার ও স্টাফদের কাছ থেকে জানা যায়, ২৬ জুলাই বেলা ২টার দিকে হোটেলে ওঠেন রাকিব। এর পর থেকে হোটেলে অবস্থান করছিলেন। গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে তিনি হোটেলের বাইরে বের হননি। আজ সকাল ৮টার দিকে হোটেল বয় তাঁর রুমে নক করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেন। এরপর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে।
এদিকে রাকিবের বাবা মো. হিমু মিয়া জানান, ২০-২৫ দিন আগে রাকিব গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে যান। ঈদের দুদিন পর গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। তবে ঢাকার কোথায় ছিলেন তা বলতে পারেননি। পরশু রাকিব তাঁর মাকে ফোন দিয়ে ক্ষমা চান এবং বলেন, ‘মা, আমাকে মাফ করে দিয়ো।’ এরপর অনেক চেষ্টা করেও তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। সবশেষ আজ সকালে থানা-পুলিশের মাধ্যমে তাঁরা খবর পান যে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।