শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ৭ বছরের ছেলের সামনে মাকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাবার বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সখীপুর থানার সখীপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাবিবউল্লাহ ডিগ্রি কলেজের পূর্বপাশের সরিষাখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী রুবেল শেখ (৩৫) পলাতক রয়েছেন।
নিহত শাহানাজ বেগম (৪০) সখীপুর ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের মালেক মুন্সীর মেয়ে। তাঁর ৭ বছরের এক ছেলে ও ২ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
সখীপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা মতিন শেখের ছেলে রুবেল হাসানের সঙ্গে শাহানাজ বেগমের ১১ বছর আগে বিয়ে হয়। সম্প্রতি রুবেল শাহানাজকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার সকালে রুবেল ও শাহানাজ তাঁদের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সখীপুরের সরদারকান্দি গ্রামে বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় চাঁদপুরে যাওয়ার সময় আবার ঝগড়া বাঁধে তাঁদের। ঝগড়ার একপর্যায়ে ছেলে সোহানের (৭) কোলে ছোট মেয়েকে দিয়ে রুবেল তাঁর স্ত্রী শাহানাজকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহানাজের মরদেহ উদ্ধার করে।
শাহানাজের বড় ছেলে সোহান জানায়, বাবা-মা ঝগড়া প্রতিদিনই করত। আমরা নানা বাড়ি বেড়াতে আসি। সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার সময় বাবা আমার বোনকে আমার কোলে দিয়ে আমার মায়ের গলা চেপে ধরে মেরে আবার ছোট বোনকে নিয়ে চলে যায়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে ওই নারীর সঙ্গে কী হয়েছিল। তবে স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।