জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়ে যেসব কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, সেসবের আংশিক সত্যতা পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
তাঁদের জড়িত থাকার অভিযোগ ‘প্রাথমিকভাবে সত্য’ বলে আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রায়হান ও দ্বীন ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়টির ‘খণ্ডিত সত্যতা’ পাওয়া গেছে। তবে ‘সব অভিযোগ পূর্ণাঙ্গ এবং যেভাবে কথা আসছে সেভাবে মিলে গেছে’ এমনটা বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে প্রাথমিকভাবে সত্যতা আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের যতটুকু কাজ ছিল, সেটুকু আমরা করে দিয়েছি। এখন কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার পুলিশ তদন্ত করবে।’
গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ের বাসা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী অবন্তিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার আনুমানিক এক ঘণ্টা পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্ট্যাটাসে তাঁর মৃত্যুর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তাঁর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাতে অবন্তিকার মা তসলিমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন দুপুরে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন: