রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম তামান্না ফারাহ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজ বুধবার সকালে গ্রেপ্তারের পরপরই দুপুরে মতিঝিল থানার পুলিশ ইশরাক হোসেনকে আদালতে হাজির করেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণ করার সময় ইশরাককে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতীয় শ্রমিক দল এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাঁকে তুলে নেয়। পরে তাঁকে ২০২০ সালে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ছিল।
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের রাস্তায় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, গাড়ি ভাঙচুর এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন—এমন অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে মতিঝিল থানার পুলিশ।
এই মামলায় ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ইশরাক হোসেন ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন এবং স্থায়ী জামিন শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন। করোনার কারণে দীর্ঘদিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেন। ওই দিন চূড়ান্ত শুনানির সময় ইশরাক হোসেন আদালতে হাজির না হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গত ২ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।