রাজধানীর গুলিস্তানে থেমে থাকা বাসে বেপরোয়া আরেক বাস ধাক্কা দিলে সেখানে চাপা পড়ে এক নারী পথচারীর মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালক মো. বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার পাচরুখী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩-এর একটি দল।
র্যাব-৩ জানায়, গ্রেপ্তার বাসচালক ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার দাবি করলেও তিনি তা দেখাতে পারেননি। এমনকি গাড়ি চালানোর ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না তাঁর।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে হালিমা বেগম (৫০) গুলিস্তানে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেখানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী আনন্দ পরিবহন বাসকে ঢাকা-নরসিংদী চলাচলকারী মেঘালয় পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়াভাবে ওভারটেক করছিল। এ সময় বাস দুটির মাঝে চাপা পড়েন হালিমা। ঘটনাস্থল থেকে পথচারীরা হালিমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হালিমা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আইন্টার এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী। ওই ঘটনায় বাসটির অভিযুক্ত চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে র্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাচরুখী এলাকা থেকে মেঘালয় পরিবহনের ঘাতক বাসটির চালক বাদল মিয়াকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার চালক বাদলের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে বলে দাবি করলেও র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তাঁর ড্রাইভিংয়ের ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।