মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে হয়রানির অভিযোগে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবারের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ নির্দেশ দেন।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে নারী শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগে ওই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার আলী এহসান গত ৩০ ডিসেম্বর সরেজমিনে তদন্ত করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ৫ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আজিজের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরদিন ৬ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একপত্রে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠায়। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে মর্জিনা পারভীনকে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। ওই পত্রে আজ বুধবারের মধ্যে তাকে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, গত জুন মাসে যোগদানের পর তিনি মহিলা শিক্ষকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে চরম হয়রানি শুরু করেন। সরকার ঘোষিত মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রচলিত নিয়ম উপেক্ষা করে মনগড়া আইন চালু করেন। যা নিয়মবর্হিভূত এবং শৃঙ্খলা বিরোধী। তাঁর শাস্তিমূলক বদলিতে শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, মর্জিনা পারভীনকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ডিসেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘শিক্ষকদের মাতৃকালীন ছুটি মঞ্জুর করাতে ভোগান্তি’, ১ জানুয়ারি ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে হয়রানির ঘটনায় তদন্ত’ ও ৮ জানুয়ারি ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে হয়রানি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে শাস্তির সুপারিশ’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।