রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল থেকে সাদিক অ্যাগ্রোর খামার উচ্ছেদের পর খাল খনন শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শুক্রবার সকাল থেকে খনন শুরু করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে ১০ বিঘা জমি উদ্ধার করেন ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, একটি বেকু মেশিন দিয়ে ভরাট হওয়া খালের মাটি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর একটি বুলডোজার দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল সাদিক অ্যাগ্রো খামারের পেছনের অংশে। আশপাশের কিছু উৎসুক মানুষ খাল খননের দৃশ্য দেখছিলেন। সেখানে স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা বশির আহমদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, খালটা অনেক চওড়া ছিল। একসময় সাঁতার কেটেছি। দখলের কারণে এখন খালের কোনো নিশানা পর্যন্ত নেই।
সাদিক অ্যাগ্রোর দক্ষিণ–পূর্ব পাশে একটি একতলা স্থাপনা রয়েছে মোহাম্মদ ফারুকের। বুলডোজার দিয়ে তাঁর বাড়িরও কিছু অংশ ভাঙা হয়েছে। ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদিক অ্যাগ্রো খালে ময়লা ফেলছে। খালের কিছু অংশে তাঁর খামার রয়েছে। এখন সাদিকের ইমরান ছাগল নিয়ে ভাইরাল হওয়ায় আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান প্রমুখ। মাহবুব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিএস নকশা অনুসারে খাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। রামচন্দ্রপুর খালের এই অংশে চার দিনের উচ্ছেদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী দুই দিনও উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খননের কার্যক্রম চলবে।’