স্বামীকে তালাক না দিয়েই বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুজনের পক্ষে এই আবেদন করা হয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই আদেশে তামিমার মা সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্ন আদালত কর্তৃক অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করেছেন নাসির ও তামিমা। পরে মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে আগামী ১ আগস্ট শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।’
তাপস কুমার পাল বলেন, ‘এই আদেশের ফলে নিম্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে।’
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাঁদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তাঁর ৮ বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
পরে পিবিআই তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।