রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় রুলিং মিল বস্তিতে আগুন নেভাতে পানির সংস্থান করতে না পারা এবং বড় গাড়ি ঢুকতে না পারায় আগুন ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ৷
রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেখা যায়, বড় গাড়িগুলো ঢুকতে পারছে না৷ ঘটনাস্থলের কাছে একটি বালুর স্তূপ সরানোর চেষ্টা করছে ৷ রুলিং মিল বস্তিতে ১০ বছর ধরে বসবাস করছেন মো. নূর নবী৷ তিনি বলেন, ‘পানি পাইতে দেরি হওয়া, গাড়ি ঢুকতে না পারায় আগুন বড় হইছে ৷ দ্রুত পানি দিতে পারলে এত বড় হইত না।’
এই বস্তিতে মোট ৭০টির মতো ঘরে কয়েক শ পরিবার বসবাস করে ৷ ঘরগুলোর অর্ধেকের বেশি টিনের। এসব ঘর দুই-তিনতলা করে নির্মাণ করা। সময়মতো পানি না পাওয়া ও গাড়ি ঢুকতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
বড় গাড়ি ঢুকতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টাফ অফিসার (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘ছোট গাড়িগুলো সব ঢুকে গেছে, কাজও করছে৷ বড় গাড়ি ঢুকতে না পারায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে সময় লাগছে৷’
৯টা ৫০ মিনিট থেকে একটি বড় গাড়ির মাধ্যমে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে ৷ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নভানোর কাজ করছে। সদর দপ্তর থেকে আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিমান ও নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে।
আরও খবর পড়ুন: