Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মোহাম্মদপুরে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোহাম্মদপুরে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকার ১২ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে এক গৃহবধূকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে আদাবর থানা-পুলিশ। নিহতের নাম মোসা. খাবিরুন নেসা (৩০)। তার ৮ বছর ও দেড় বছরের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। 

গত ১১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে ডাক্তারের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, আসামি আফসার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। 

হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের কারণে হত্যা। পরিবার মামলা করেছে। আমরা তদন্ত করছি।

নিহত খাবিরুনের ছোট ভাই মো. বাবুল বলেন, ‘হত্যার আগের দিন আফসার গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় আমাদের বাসায় আসে। পরে হঠাৎ করে বাসায় চলে যায়। পরের দিনই শুনি আমার বোনকে হাসপাতালে ফেলে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।’

প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে বাবুল বলেন, ‘আমরা বোনের বাসায় গিয়ে জানতে পারি এই হত্যায় তাঁর শাশুড়িও জড়িত। প্রথমে মারধর করে। পরবর্তীতে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার বোনের শরীরে বিদ্যুতের শকের কারণে বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত হয়ে ছিল। এমন নির্মমভাবে মেরেছে বলে বোঝাতে পারব না। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্নের পাশাপাশি হাত-পা বেঁধে রাখার প্রমাণও দেখা গেছে।’ 

বাবুল আরও বলেন, ‘যে বাড়িতে আমার বোনকে মেরেছে সেখানে একটাই টিনশেড ঘর, আশপাশে কোনো ভাড়াটিয়া নাই। পাশের বাড়ির নারী আমাদের জানিয়েছে স্বামী-স্ত্রী সব সময় ঝগড়াঝাঁটি করত, তাঁর স্বামী তাকে মুখ বেঁধে মারধর করত। ঘটনার দিন বৃষ্টি থাকায় কেউ কোনো কিছু বুঝতে পারেনি। পরবর্তীতে অসুস্থ অবস্থায় স্বামী আফসার শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেছিল কি সমস্যা হয়েছে। তখন সে ডাক্তারকে স্ট্রোক করেছে। কিন্তু ডাক্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে বিষয়টি সন্দেহ হয়। তখন শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে পান আমার বোনের হার্টবিট বন্ধ, তখন তাঁর স্বামী পালানোর চেষ্টা করলে ডাক্তার আনসার সদস্যদের দিয়ে আটক করান। পরে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।’

পুলিশ বিষয়টি পরিবারকে জানালে গতকাল রাতে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে নিহতের লাশ শেরপুর নকলা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

জানা যায়, আফসারের বাড়ি চট্টগ্রামে। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নবীনগর এলাকায় থাকতেন। নিহত খাবিরুন শেরপুর নকলা উপজেলার খায়রুল ইসলামের মেয়ে। তারা চার ভাই দুই বোন। খাবিরুন ষষ্ঠ।

বিক্ষোভের ডাক হিজবুত তাহরীরের, তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলল পুলিশ সদর দপ্তর

সিদ্ধিরগঞ্জে লেকের পানিতে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দাগি অপরাধী গ্রেপ্তার নেই, উদ্ধার বেশি রড-লাঠি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলের মৃত্যু টাকার লোভে আন্দোলনে হত্যার মামলা বাবার

আমন সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশের কম

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

ইফতার ঘিরে মিলনমেলা

আতঙ্কের নাম গ্যাস বিস্ফোরণ

ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তাকারীর জামিনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, চাকরিতে বহাল করলে ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি