
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে