মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে অবৈধ যানবাহন ট্রলি, নসিমন, করিমন, ভটভটি, ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) ও ইজিবাইকে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। স্থানীয় বালুখেকোদের, বালু, ইট, মাটি ও মালামাল বোঝাই করা এসব যানবাহন চলছে হরহামেশাই। আর এসব যানবাহনের চালকেরা অধিকাংশই অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। ফলে এই এলাকায় নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব যানবাহনের চালকেরা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। এদের বেশির ভাগ চালকের বয়স ১৫-১৭ বছরের। সম্প্রতি পাঁচটি দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তাঁরা।
গত মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ট্রাক্টর গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে সন্ধ্যায় মারা যান উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুলাহ সায়েম লিপু। লিপু ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি ওয়ালটন কোম্পানির বিপণন কর্মকর্তা হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার ঝিটকা-মাচাইন আঞ্চলিক সড়কের বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা দফাদারপাড়া গ্রামে ট্রলির (ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি) চাপায় এক বৃদ্ধা মারা যান। এ ঘটনারও আগে ট্রলিচাপায় এক কিশোর ও এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছে।
গত ১০ মে নসিমন ও ইটভর্তি ট্রাকের সংঘর্ষে হরিরামপুর উপজেলার কামারঘোনা গ্রামের লালচান মোল্লার ছেলে নসিমনচালক এরশাদ মোল্লা (৩০) মারা যান। এ ছাড়া ৪ এপ্রিল ট্রলির চাপায় হরিরামপুরের বলড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম আনান রোমান (২২) মারা যান।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, ‘অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা বালু পরিবহনে ট্রাক্টর, কাঁকড়া গাড়ি, ট্রলিসহ অবৈধ যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। অবৈধ বালু ব্যবসা মানে অবৈধ এই গাড়ি চলবেই। তাই অবৈধ বালু ব্যবসায় ব্যবহৃত অবৈধ সব যানবাহন বন্ধ করার দাবি জানাই।’
হরিরামপুর থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’