Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

গৃহকর্মীর মৃত্যু: রিমান্ড শেষে স্ত্রীসহ সাংবাদিক আশফাকুল হক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গৃহকর্মীর মৃত্যু: রিমান্ড শেষে স্ত্রীসহ সাংবাদিক আশফাকুল হক কারাগারে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে সাংবাদিক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।

অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর দায়ে করা মামলায় দুপুরে দুইজনকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। 

তবে প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. হেলাল কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রীকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওইদিন বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের এসআই নাজমুল হাসান প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। দুইজনের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। 

শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুইজন রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে (৪৭) গৃহকর্মী প্রীতি ওরাংয়ের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ওইদিন রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং তিন কার্য দিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিহত কিশোরীর বাবা লোকেশ ওরাং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ৩০৪-ক ধরায় মামলা নেওয়া হয়। 

এর আগে গত  ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সে সময় স্থানীয়রা ওই বাড়ির ফটকে জড়ো হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সৈয়দ আশফাকুল হক, তাঁর স্ত্রী তানিয়াসহ ওই বাসা থেকে ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর সৈয়দ আশফাকুল হকের ছেলে, মেয়ে ও দুইজন স্বজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

মামলায় বলা হয়, সৈয়দ আশফাকুল হকের ভবনের নয় তলায় বারান্দায় কোনো নিরাপত্তামূলক বেষ্টনী না থাকায় থাই গ্লাসের ফাঁক দিয়ে গৃহকর্মী প্রীতি উরাং পড়ে গিয়ে মারা যায়। এতে বাসার মালিকের ও তাঁর স্ত্রীর দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে।

গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন, পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়ি

নেতৃত্বের শূন্যতায় নগর জীবনে দুর্ভোগ চরমে

আয়োজন বেশি, ক্রেতা কম

গুলশানের একটি বাড়িতে মব তৈরি করে লুটপাট

জ্বলে না চুলা, ইফতারি তৈরিতে হিমশিম রাঁধুনি

‘পর্দা’ না করায় ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা করা কর্মচারী আটক

তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতার মারামারি

ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে জখম

মা-বাবাসহ ৭ জনকে কোপালেন যুবক, একজনের মৃত্যু