টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আশরাফুল সিকদার (১৭) নামে আবারও এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়া সেতুর উত্তরপাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আহত অবস্থায় ওই পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আশরাফুল সিকদার দেওহাটা আলহাজ জোনাব আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের শওকত সিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় আশরাফুলের বাবা ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৭ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলো—গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের আশরাফ, আবির, নির্জন, লাদেন, আব্দুল্লাহ, মেহেদী, রিদয়, সিয়াম। এ ছাড়া মির্জাপুর সদরের রিফাত।
অভিযোগ জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওইস্থানে পৌঁছালে অভিযুক্তরা দা, চাপাতি, হাতুড়ি, লোহার চেইন, পাইপ, কাঠসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আশরাফুলের ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম অভিযোগ পাওয়া কথা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে ৯ মে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ১২ পরীক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে সিফাত নামে এক শিক্ষার্থীকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীরা সবাই কুর্নী জালাল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিনই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কুর্নী গ্রামবাসী ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে।