অচিরেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি পরিবারকে পণ্য দেওয়া হবে। একমাত্র যাদের কার্ড আছে, তারাই এই সুযোগ পাবে।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে টিসিবির ১ কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইতিমধ্যে ৮৫ শতাংশ কার্ড তৈরি হয়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরের দুই সিটি করপোরেশনে ১৩ লাখ কার্ড বিতরণ করা হবে। প্রায় অর্ধেক কার্ড তৈরি হয়ে গেছে।
একটি ওয়ার্ডে একাধিক ডিলারের দোকান থাকবে। সেখান থেকে ব্যক্তি স্ক্যানিং করে পণ্য কিনতে পারবেন। এই স্ক্যানিংয়ের তথ্য ডাটাবেজে যুক্ত থাকবে। মাসে একবারের বেশি স্ক্যানিং করার সুযোগ থাকবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডলারের দাম হঠাৎ করে বেশি। খুব চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে কী করা যায়। আমাদের কাছে হিসাব আছে। ধরেন, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচের জন্য প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে। সেখানে ব্যবসায়ীরা ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এখানে কোনো লজিক আছে? নাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কষ্টে আছি স্বীকার করছি। আমাদের যেটা দেখা দরকার, কষ্টটা লাঘব করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী চেষ্টা করছেন।’
অচিরেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রকৃত দাম কেমন পড়ছে তা ক্যালকুলেশন করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।’