করোনা মহামারীর কারণে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ রয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাসও। আর এর মধ্যে গাছ কেটে ‘ক্যাম্পাস ঝুঁকিমুক্ত’ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ! এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয় বাংলা চত্বর থেকে শুরু করে লিপু’স ক্যান্টিন ও ছেলেদের হলের পাশে এবং ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে খেলার মাঠের পাশ দিয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গাছই চার থেকে পাঁচ বছর আগে রোপণ করা হয়েছিল। কাটা গাছের মধ্যে রয়েছে কড়ই, রেইনট্রি, শিশু ও কদমসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতি। কিছু স্থানে বড় গাছ কেটে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক লাইন রক্ষাসহ ঝড়ে জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কার কারণেই গাছ কাটা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি বলেন, প্রচণ্ড রোদে এ গাছগুলো আমাদের ছায়া দিত, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শীতল সতেজ রাখতো। প্রশাসনের উচিত ছিল গাছগুলো না কেটে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন ভয়েস নামে পরিবেশবাদী সংগঠনের সভাপতি আলী আহসান বলেন, এভাবে বৃক্ষনিধন মেনে নেওয়া যায় না। এতগুলো গাছ না কেটে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন টানা যেত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, যেসব গাছ কাটা হয়েছে সেগুলো অপরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছিল।তাছাড়া গাছগুলোর গোড়ার মাত্র ছয় ইঞ্চি নিচে আট থেকে ১০ ফুট পুরো বালু রয়েছে। ফলে একটু ঝড়ো বাতাস হলেই এগুলো উপড়ে পড়ে জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।