Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

রাজারবাগ দরবার ও পীরের সম্পদের তদন্ত চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজারবাগ দরবার ও পীরের সম্পদের তদন্ত চলবে

রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পত্তি রয়েছে তার উৎস জানতে তদন্তের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ পীরের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। 

এর আগে পীর ও দরবারের সম্পদের পরিমাণ নির্ণয় করে সেগুলোর উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আদালতকে জানানোর জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন পীর দিল্লুর রহমান। সেটি আজ খারিজ হয়ে গেল। 

আদালতে পীরের বিরুদ্ধে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। 

এর আগে হাইকোর্টের লিখিত আদেশে বলা হয়, কথিত পীর ও তাঁর দরবার শরিফের নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৭ হাজার একর জমি ও রাবার বাগান রয়েছে। যা তাঁরা অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন। 

আদেশে হাইকোর্ট আরও বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ওই কমিটি সাতটি সুপারিশ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো: ক. রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে যেসব সম্পদ রয়েছে তার তালিকা প্রস্তুত করে আয়ের উৎস এবং রাজস্ব দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। 

খ. সাধারণ মানুষকে যেন ধর্মের নামে ধোঁকা দিতে না পারে এবং নিরীহ মানুষের অর্থ-সম্পদ যেন হয়রানিমূলক ভাবে মিথ্যা মামলা করে হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য রাজারবাগের কথিত পীর জিল্লুর রহমানের মূল আস্তানাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শাখা কার্যালয়সমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠন ‘উলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত ও আল ইহসান’ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক প্রচারিত সংবাদপত্র বাইয়্যিনাত ও আল ইহসান নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। 

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই সময় রাজারবাগ দরবার শরিফ এবং পীর দিল্লুর রহমানের সম্পদ ও দায় বিষয়ে দুদককে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি পীর ও তাঁর সহযোগীরা দেশের ছয় জেলায় পৃথক মামলা দিয়ে রিট আবেদনকারীদের হয়রানি করছেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা তদন্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় সিআইডিকে। 

সাত বছর বয়সী শিশু, দুজন নারী, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মাদ্রাসার শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ আট ব্যক্তির করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। 

রাজারবাগ দরবারের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিমতের ভিত্তিতে পীর ও তাঁর অনুসারীদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি-না, সে বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে তদন্ত করতে বলা হয়। সিটিটিসিকেও আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। 

রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর ও তাঁর ১১ সহযোগী দেশের ৬টি জেলায় পৃথক ৩৪টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন অভিযোগ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে ওই আট ব্যক্তি গত ১৬ সেপ্টেম্বর রিট করেন। এ ছাড়া রিটকারীদের অযথা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এর আগে ৪৯ মামলার চক্করে পড়ে একরামুল আহসান নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। তাঁর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই সব মামলা দায়ের ও এর পেছনে কারা আছেন, তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনে একরামুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা মামলার পেছনে রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর অনুসারীদের সম্পৃক্ততার তথ্য এসেছে। 

গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন, পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়ি

নেতৃত্বের শূন্যতায় নগর জীবনে দুর্ভোগ চরমে

আয়োজন বেশি, ক্রেতা কম

গুলশানের একটি বাড়িতে মব তৈরি করে লুটপাট

জ্বলে না চুলা, ইফতারি তৈরিতে হিমশিম রাঁধুনি

‘পর্দা’ না করায় ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা করা কর্মচারী আটক

তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতার মারামারি

ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে জখম

মা-বাবাসহ ৭ জনকে কোপালেন যুবক, একজনের মৃত্যু