Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

জাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের আমরণ অনশন, দুজন পরেছেন কাফনের কাপড়

জাবি প্রতিনিধি

জাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের আমরণ অনশন, দুজন পরেছেন কাফনের কাপড়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা টানা ১৩ দিনের ধর্মঘট শেষে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মেঝেতে অনশনরত অর্ধশতাধিক কর্মচারীর মধ্যে দুজন পরেছেন কাফনের কাপড়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের মজুরিভিত্তিক চাকরি স্থায়ী করতে হবে। এ জন্য তাঁরা লিখিত আশ্বাস চান। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবি, আন্দোলনকারীদের স্থায়ী চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতায় ঘাটতি আছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন চলছে। দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, দুজন কর্মচারী কাফনের কাপড় পরে শুয়ে আছেন।

অনশনরত শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, আমাদের চাকরি দিতে হবে। নইলে আমরা মৃত্যুকে বেছে নেব। চাকরি স্থায়ী না হলে এখানেই মৃত্যুবরণ করব। তাই কাফনের কাপড় পরে শুয়ে আছি।’

মো. রায়হান বলেন, ‘কাফনের কাপড় পরে অবস্থান নিয়েছি। যদি মারা যাই, আমাদের লাশ এই রেজিস্ট্রার অফিসের সামনেই যেন কবর দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান সাংবাদিকদের বলেন, চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত ইউজিসি থেকে নেওয়া হয়। ২৭ জুলাই ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের মধ্য থেকে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে। ইউজিসির চেয়ারম্যান কয়েকটি পদ অনুমোদন দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে চেয়ারম্যান ইউজিসির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

এর আগে গত ১৭ জুলাই থেকে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে টানা ১৩ দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন তাঁরা। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অন্তত ১৭ জন।

জাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের আমরণ অনশন। ছবি: আজকের পত্রিকাজানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি একই দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তাঁরা। তখন ছয় মাসের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন কর্মচারীরা। তবে আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেন তাঁরা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী আছেন। তাঁরা আগে দিনপ্রতি ৩৩০ টাকা মজুরি পেতেন। যদিও পরে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের মজুরি ৪০০ টাকা করা হয়। তবে তাঁরা দৈনিক মজুরির বাইরে কোনো বোনাস বা ইনক্রিমেন্ট পান না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলগুলোতে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাহানারা ইমাম হলের অফিস সহায়ক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘১৩ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছি। তবু চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিব।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেন, ‘যারা মজুরিভিত্তিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত আছেন, তাঁদের নিয়োগের সময় যোগ্যতার সঠিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট কাটাতে এ ধরনের নিয়োগ তাৎক্ষণিকভাবে হয়ে থাকে। তা ছাড়া কখনো তাঁদের স্থায়ী নিয়োগের কোনো আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেয়নি। তাই তাঁদের এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দক্ষতার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করবে।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্যে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে যে পদগুলো দেওয়া হয়েছে, সেখানে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অনেকের যোগ্যতা মিলছে না। তাই সবার চাকরি স্থায়ী করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউজিসি থেকে পদ পাওয়া সাপেক্ষে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার চেষ্টা করব।’

বিক্ষোভের ডাক হিজবুত তাহরীরের, তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলল পুলিশ সদর দপ্তর

সিদ্ধিরগঞ্জে লেকের পানিতে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দাগি অপরাধী গ্রেপ্তার নেই, উদ্ধার বেশি রড-লাঠি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলের মৃত্যু টাকার লোভে আন্দোলনে হত্যার মামলা বাবার

আমন সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশের কম

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

ইফতার ঘিরে মিলনমেলা

আতঙ্কের নাম গ্যাস বিস্ফোরণ

ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তাকারীর জামিনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, চাকরিতে বহাল করলে ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি