রাজধানীর উত্তরায় সিগন্যাল অমান্য করা প্রাইভেটকারকে মোটরসাইকেলকে ধাওয়া দিয়ে ধরতে গিয়ে ওই গাড়ি চাপায় মো. ফিরোজ নামের একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় এলাকায় বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আশপাশের লোকজন আহত সার্জেন্টকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেই সঙ্গে ওই প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-চ ২০-২০৩৪) থাকা চালক ও তার তিন সহযোগীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের সুলতান আলীর ছেলে ও গাড়িটির চালক আব্রাহাম মুশফিক। তিনি ও লেভেলের শিক্ষার্থী। বাকিরা হলেন ওই গাড়ির যাত্রীর ও মুশফিকের সহযোগী তামিম, তানজিন ও ওয়াসিফ।
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে চলা ওই প্রাইভেটকারকে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল হান্নান সিগন্যাল দেন। গাড়িটি নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ফিরোজ ওই গাড়িটিকে ধরার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করেন। তখন প্রাইভেটকারটি তাঁর মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে তিনি পড়ে গিয়ে ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, এমন দৃশ্য দেখে আশপাশের উৎসুক জনতা প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অন্যদিকে আহত ট্রাফিক সার্জেন্টকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
এ বিষয়ে উত্তরার খালপাড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিগন্যাল অমান্য করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। সার্জেন্টের অবস্থা এখন ভালো। আমরা এখন থানায় আছি। থানায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আমি আপনাকে পরে বিস্তারিত জানাচ্ছি।’
অপরদিকে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড়দিনকে কেন্দ্র করে ছেলেরা উশৃংখলভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। পরে সিগন্যাল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের ভুল বোঝাবুঝি হয়। থানাতেও তাঁরা কথাবার্তা বলছেন।’