রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ওয়েস্টার্ন লা ভিঞ্চি হোটেল থেকে ৩ কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পেরু ও পাকিস্তানি নাগরিককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন পেরুর নাগরিক জাগাসেতা আলভারাডো জুয়ানা। পাকিস্তানের নাগরিক মোস্তফা আশরাফকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদণ্ড।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খানম সাদিয়া ও সাবরিনা নাসরিন তানিয়া। তারা বাংলাদেশের নাগরিক।
রায় ঘোষণার আগে পেরুর নাগরিক জাগাসেতা আলভারাডো জুয়ানারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার আসামি সাবরিনা নাসরিন তানিয়া জামিনে থেকে হাজিরা প্রদান করেন। পাকিস্তানি নাগরিকসহ অন্য চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওয়েস্টার্ন লা ভিঞ্চি হোটেলের সপ্তম তলায় উপস্থিত হন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
হোটেলের ৭০৭ নম্বর রুমে প্রবেশ করে আসামিদের তল্লাশি করেন। এ সময় পেরুর নাগরিক জাগাসেতা আলভারাডো জুয়ানার দখলে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালীন ২৫ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দেন ১৫ জন।