মানিকগঞ্জে বিলকিস আক্তার (২৩) নামের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বৈতরা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জেলার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার। তিনি বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিলকিস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের হাটকুড়িয়া গ্রামের মো. বাবু মিয়ার মেয়ে। তিনি মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিলকিসের জন্মের পর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে মায়ের সঙ্গে তিনি মানিকগঞ্জের বৈতরা গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁকে বিয়ে দিয়ে তাঁর মা প্রবাসে চলে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, চার বছর আগে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামের সোহেল মিয়ার সঙ্গে বিলকিস আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দেড় মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে ভাড়া বাড়িতে আসেন বিলকিস। গত রাতের কোনো একসময় বিলকিস ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে সদর থানা-পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
বাড়ির মালিক মো. সুমন হোসেন জানান, বিলকিসের মা বিদেশে থাকলেও ঘর ছাড়েননি। তিনি প্রতি মাসেই ভাড়া পরিশোধ করতেন। দেড় মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভাড়া বাড়িতে আসেন বিলকিস। এখান থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে নিতে এলে তাঁর সঙ্গে অন্য একজনের সম্পর্ক আছে জানিয়ে বিলকিস আর স্বামীর বাড়িতে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন।
সুমন হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে যখন তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয় তখন তাঁর মোবাইল ফোনে ভিডিও কল চলছিল।’ স্থানীয়দের ধারণা, কাউকে ভিডিও কলে রেখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পুলিশের ধারণা পরকীয়ার জেরে বিলকিস আত্মহত্যা করতে পারেন। তাঁর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে নিহতের স্বামী বা পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি।