গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার দুই দিন পর নিখোঁজ যুবক মামুনের ভাসমান মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বরামা সিংহশ্রী সংযোগ সেতুর কাছে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাঁর মরদেহ। পরে পুলিশ এসে নদী থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত যুবক মামুন (১৯) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে নিখোঁজ যুবকের স্বজনেরা নদীর তীরে নৌকা নিয়ে খুঁজতে থাকেন। এরপর ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বরাম সিংহশ্রী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অল্প কচুরিপানার ভেতরে লাল গেঞ্জি পরিহিত তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। এরপর পুলিশ এসে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নিহত মামুনের বড় ভাই মাসুম জানান, ভাইয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভাইকে পুলিশ অনেক মারধর করেছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, নদী থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে। নিহতের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে পুলিশ গত রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকেলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দেন নিহত যুবক মামুন। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাস্থলের কাছে কলাবাগানের ভেতরে তাঁকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন শ্রীপুর থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই শাকিল আহমেদ। এরপর টঙ্গী স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি দল নদীতে অনেক খোঁজ করেও যুবকের সন্ধান পায়নি।