শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউপি নির্বাচনে স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের অভিযোগ তদন্তে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকারকে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ওই চিঠি জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।
১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ নির্ধারিত কার্যবিধি অনুযায়ী অনুসন্ধান পূর্বক তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউপি নির্বাচনে ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের দিন প্রতীক নিতে এসে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানতে পারেন অনেক সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা। এসময় মনোনয়ন প্রত্যাহার ফর্মে তাঁরা স্বাক্ষর করেননি, তাঁদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন অনেক প্রার্থী। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে প্রার্থীদের কথা-কাটাকাটির একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায় মনোনয়ন প্রত্যাহার হওয়া এক প্রার্থীর উদ্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, 'এমপি স্যারের সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে চিতলিয়া ইউনিয়নে কোনো নির্বাচন হবে না। সবাই সিলেকশনে হবে, এই কথা এমপি মহোদয় বলেছেন।'