বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটার গেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগে রেল ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের একটি দল রেলভবনে অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামিয়াব আফতাহি-উন-নবীর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা রেল সচিব এবং মহাপরিচালকসহ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।
দুদক এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা জানতে পারেন, রেলের লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনার জন্য ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য লোকোমোটিভ রিলিফ ক্রেন এবং লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় বৃদ্ধি করে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইঞ্জিনগুলোতে তিনটি ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টের ভিন্নতা আছে, যা চুক্তি বহির্ভূত। চুক্তিতে ৩ হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন দেওয়ার কথা থাকলেও ২ হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, টিএ-১২ মডেলের অল্টারনেটরের পরিবর্তে টিএ-৯ মডেল সংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ২৯০৯-৯ মডেল এর পরিবর্তে ২৯০৯ মডেল দেওয়া হয়েছে।