মানিকগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংঘর্ষ হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরের জড়ো হওয়ার সময় খালপাড় এলাকায় আসা মাত্রই ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করে।
পরে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন আসিফ খান মনিরসহ আন্দোলনকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদের মুন্নু এবং সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকা এবং জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে থাকে। এ সময় সেওতা এলাকার ভেতর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা খাল পার হয়ে শহরে প্রবেশ করা মাত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে । এ সময় শিক্ষার্থীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এই অবস্থা চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস মারেন।
অপরদিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকার মানোরা এবং পুলিশ লাইন এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ লাইন এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।
মানিকগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম রাজু বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যুবলীগের আহ্বায়ক রাজা এবং ছাত্রলীগের সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে পুলিশের উপস্থিতিতে ধারালো অস্ত্র পাইপ ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হামলা করেন। তাদের হামলায় আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক কমবেশি আহত হয়েছে। মারাত্মক আহত অবস্থায় থাকা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য চাইলে তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছে।
আরও খবর পড়ুন: