রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে ছয় মাস মোবাইল কোর্ট পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে দেওয়া সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ ছাড়া তাঁদের কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
হাসান এমএস আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন না—মর্মে আদেশ চেয়েছিলাম। আদালত ছয়মাস পর্যন্ত করেছেন।’
এর আগে ২৩ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা কেড়ে নিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে ওই দুই দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবুল কালাম ও রুহুল আমিন এ রিট করেন।
গত ৫ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ: কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন ভুক্তভোগীরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধের সাতে-পাঁচে না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেওয়ার কাজ করতে গেলে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুজন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।